ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় কোস্টগার্ডের অস্ত্রসহ বোট জব্দ, আটক-১

pekua-dc-newনাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়ায় কোস্টগার্ডের অভিযানে একটি ফিশিং বোট জব্দ করেছে। এ সময় দুটি দেশীয় তৈরী অস্ত্র উদ্ধারসহ একজন জলদস্যুকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া আমিনবাজার জেটিঘাট থেকে এ সব জব্দ করে কোস্টগার্ড। আটককৃত ব্যক্তির নাম জসিম উদ্দিন। তিনি চট্রগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আল্লাহর দান নামের ফিশিং বোট জব্দ করা হয়েছে। বোটটির মালিকের নাম নবী হোসেন। তিনি ছনুয়া ইউনিয়নের কবির সিকদারপাড়া এলাকার গোলাম হায়দারের ছেলে বলে জানা গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে কোস্টগার্ড। এ সময় ছনুয়া নদীর আমিন বাজার জেটিঘাট থেকে দুটি অস্ত্রসহ বোটটি জব্দ করে। আটককৃত ব্যক্তি জলদস্যু বলে নিশ্চিত করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। স্থানীয়রা জানায়, আল্লাহর দান ফিশিং বোটের মালিকের বিরুদ্ধে মানবপাচার মামলা রয়েছে। বোটটি উপকুলে বেশ আলোচিত। গত কয়েক বছর ধরে সাগরপথে মানবপাচার হচ্ছিল। মানবপাচার সমুদ্রে দস্যুতাসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকায় ওই ফিশিং বোটটি প্রশাসনের নজরদারীতে ছিল। ওই দিন ওই জেটিঘাট থেকে সেটি জব্দ হয়েছে।  কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস জানায়, অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। যার নং০৪/১৭।

####################

আসামী পলাতক, ধর্ষিতার কি হবে?

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :

পেকুয়ায় ধর্ষণের বিষয়টি অমিমাংসিত থেকে গেছে ৪ বছর ধরে। ৩য় শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করে। ডাক্তারী পরীক্ষায় মেয়েটি ধর্ষন হয়েছে মর্মে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। আসামী আদালতে হাজির হননি। আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। গত ৪ বছর ধরে আসামী আইনকে ফাকি দিয়ে চলাফেরা করছে এলাকায়। তবে ছাত্রী ধর্ষনের বিষয়টি নিষ্পত্তি না করে আসামী বিদেশ পালানোর চেষ্টা করছে বলে ভিকটিমের পরিবার দাবী করছেন। প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, গত ২০১৩ সালের ১০  আগষ্ট পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী এলাকায় ৩য় শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়। শিক্ষার্থী অন্য সহপাঠীদের নিয়ে বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করছিলেন। এ সময় পানি পান করার কথা বলে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষক যুবক বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়ির একটি কক্ষে ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। মেয়েটি আর্তচিৎকার করছিলেন। ওই যুবক তাকে মুখ চেপে ধরে। এক পর্যায়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষন করে। ছাত্রীর মা জানায়, আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। এ সুবাধে আমার মেয়েকে ওই ছেলে ধর্ষণ করে। এর ১০ দিন পর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে একটি মামলা রুজু করে। মামলায় আসামী করা হয়েছে টইটং ইউনিয়নের নাপিতখালী পেন্ডারপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আবছার(২০)কে। আদালত ২০১৪ সালে আসামীর বিরুদ্ধে জিআর ১০৬/১৩ মামলায় আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। ছাত্রীর মা জানায়, আমরা অত্যন্ত অসহায়। আমার স্বামী দিন মজুর। আসামী প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে নেই কোন ব্যবস্থা। আমার মেয়ে কলংকিত হয়েছে। সে ঘটনার পর থেকে লজ্জায় আর কোথাও বের হচ্ছে না। পড়ালেখা শেষ করে দিয়েছে একটি বর্বরতায়। এখন আসামী বিদেশ পালানোর চেষ্টা করছে। আমি মেয়ের সম্মান চাই। সে পালিয়ে গেলে আমার মেয়েটির কি হবে?

#####################

পেকুয়ায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রকে কুপিয়ে জখম

পেকুয়া অফিস :

পেকুয়ায় ৭ম শ্রেনীর ছাত্রকে কুপিয়ে জখম করেছে দুবৃর্ত্তরা। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গত ১ সেপ্টম্বর উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের আতরআলী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রের নাম মোহাম্মদ মিরাজ(১৩)। তিনি ওই এলাকার বেলাল উদ্দিনের ছেলে। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রের মা খালেদা বেগম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, জালিয়াখালী মাদ্রাসার ৭ ম শ্রেনীর ছাত্র মিরাজ ওই দিন আতরআলীপাড়া জাহেদের দোকানে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে একই এলাকার আজিজুর রহমানের পুত্র আবুল কালাম পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে কুপিয়ে বামহাতে জখম করে। পরে স্থানীয়রা মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

পাঠকের মতামত: